দাউদ ইব্রাহিম কাসকার | |
---|---|
দাউদ ইব্রাহিম | |
জন্ম | (1955-12-27) ২৭ ডিসেম্বর ১৯৫৫ (বয়স ৬৯) খেদ, রত্নগিরি জেলা, মহারাষ্ট্র, ভারত |
পেশা | সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ |
অপরাধীর অবস্থা | দাগী |
দাম্পত্য সঙ্গী | জুবিনা জেরিন |
আত্মীয় | শাবির ইব্রাহিম কাসকার (ভাই) |
দাউদ ইব্রাহিম কাসকার, (জন্মঃ ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৫৫) দাউদ ইব্রাহিম নামেই বেশি পরিচিত যিনি ভারতের মুম্বাই এ মুসলিমদের দ্বারা সংগঠিত অপরাধ চক্রের প্রধান। তার সিন্ডিকেটের নাম হলো ডি-কোম্পানি। তিনি সংগঠিত অপরাধের জন্য ইন্টারপোলের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায়[১] এবং মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস-এর বিশ্বের শীর্ষ পলাতক অপরাধীদের ২০১১ এর তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন।[২] ২০০৮ সালেও তিনি ফোর্বস-এর তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিলেন।[৩] এছাড়া ভারতীয় পুলিশের পলাতক মুসলিম অপরাধীদের তালিকায়ও তার নাম শীর্ষে।
দাউদ ইব্রাহিমের দলে প্রায় ৫ হাজার সদস্য রয়েছে যারা মাদক চোরাচালান থেকে শুরু করে খুন, অপহরণ এর মত কাজ করে থাকে। ছোটা শাকিলকে দাউদ ইব্রাহিম এর ডান হাত হিসেবে ধরা হয়। তাদের কর্মক্ষেত্র ভারত, পাকিস্তান ও সংযুক্ত আরব অমিরাত।
১৯৯৩ সালে ১২ মার্চ মুম্বাই স্টক এক্সচেঞ্জে এক সিরিজ বোমা বিস্ফোরণে ৩১৫ জন (সরকারি হিসেবে ২৫৭ জন) লোক নিহত হয়।[৪][৫] এর জন্যও দাউদ ইব্রাহিমকে অভিযুক্ত করা হয়। ২১ মার্চ ২০১৩ সালে ইন্ডিয়ান সুপ্রীম কোর্ট এক নিরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারে এই বোমা হামলায় দাউদ ইব্রাহিম সরাসরি জরিত ও তিনি পাকিস্তানে আত্মোগোপন করে আছেন যাদিও পাকিস্তান সরকার ভারতের এই দাবি বারবার অস্বীকার করে আসছে।
পুলিশের প্রধান কন্সটেবল ইব্রাহিম কাসকারের পুত্র দাউদ ১৯৫৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর ভারতের মহারাষ্ট্রের কনকান অঞ্চলের রত্নগিরি জেলার মামকা গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন।[৬] তিনি মূলত কনকানি মুসলমান সম্প্রদায় থেকে এসেছেন।[৭] তিনি প্রথমে মুম্বাই এর করিম লালা গ্যাং এ কাজ করতেন এবং পরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই চলে যান এবং সেখান থেকেই তার অপরাধের সম্রাজ্য বিস্তৃত করতে থাকেন। তার সম্পদের পরিমাণ ৭.৫ হাজার কোটি রুপী।[৮] শিপিং, এয়ারলাইন্স ও অন্যান্য ক্ষেত্রে তার বিনিয়োগ আছে এবং ইউরোপ, এশিয়া ও আফ্রিকাজুড়ে ছড়িয়ে আছে তার ব্যবসার স্বার্থ।
দাউদের মেয়ে, মাহরুখ ইব্রাহিম পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ মিয়াদাদ এর ছেলেকে বিয়ে করেন।[৯] যুক্তরাজ্যে লেখাপড়ার সময় তাদের মধ্যে পরিচয় হয়। দাউদের ৩ মেয়ে যার একজন মারিয়া ১৯৮৮ সালে মারা যায়। ২০০৯ সালের ৩০ মার্চ দাউদের ভাই নোরা ঘুমের মধ্যে মারা যায়।[১০][১১] এছাড়া আরেক ভাই আনিস ইব্রাহিমও মুম্বাই হামলার অন্যতম আসামী।
দাউদের থেকে ১০ বছরের ছোট ভাই ইকবাল কাসকার মুম্বাইয়ে দাউদের ব্যবসা দেখাশোনা করেন। ইকবাল ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত একটা হত্যা মামলায় চার বছর জেল খেটেছেন।[৮]মীরা রোড, ভাঈন্দর ও মধ্য মুম্বাইয়ের রিয়েল এস্টেটে তার বিনিয়োগ আছে বলে শোনা যায়। দাউদের বোন ৫২ বছর বয়স্কা হাসিনা পারকার ২০০৩ সালে আমিরাত থেকে ইকবালের প্রত্যাবর্তনের আগ পর্যন্ত দাউদের সাম্রাজ্য চালিয়েছিলেন।
দাউদ ইব্রাহিমের অপরাধ জীবনের ঘটনা নিয়ে বলিউডে কয়েকটি চলচ্চিত্রও নির্মাণ করা হয়েছে। যথা:-
[১২]